রায়পুরের জমিদারের দুই মেয়ে। তিনি মৃত্যুর আগে ছোট মেয়ের ছেলেকে জমিদারি ক্ষমতা দেন। ফলে তাঁর বড় মেয়ে ও বড় মেয়ের ছেলে লোভী ও স্বার্থপর কর্মচারীদের নিয়ে কোন্দল সৃষ্টি করে। অবশেষে এক বিদেশি কোম্পানির হাতে তাঁদের জমিদারির ক্ষমতা চলে যায়।
উদ্দীপকে নির্দেশিত ঘটনার সাথে ঐতিহাসিক ঘটনা পলাশীর যুদ্ধের মিল আছে।
নবাব আলিবর্দী খাঁর মৃত্যুর পর তাঁর দৌহিত্র নবাব সিরাজউদৌলা ২২ বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন। এতে তার নিকটাত্মীয়রা মনঃক্ষুণ্ণ হন। এই কারণে নবাবের দরবারের একটি অংশ ও আত্মীয় নবাবকে মসনদ থেকে হটানোর জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করে। তদ্রুপ উদ্দীপকে উল্লিখিত রায়পুরের জমিদার মৃত্যুর আগে তার ছোট মেয়ের ছেলেকে জমিদারি ক্ষমতা দেন। ফলে তাঁর বড় মেয়ে ও বড় মেয়ের ছেলে লোভী ও স্বার্থপর কর্মচারীদের নিয়ে কোন্দল সৃষ্টি করে। অবশেষে এক বিদেশি কোম্পানির হাতে তাদের জমিদারির ক্ষমতা চলে যায়। পুরো ঘটনাটি নবাব সিরাজউদ্দৌলোর ক্ষমতা গ্রহণ, তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া যড়যন্ত্র, ইংরেজদের হাতে নবাবের পরাজয় এবং ঔপনিবেশিক শাসনের সূত্রপাতের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। নবাবকে মসনদ থেকে সরানোর ষড়যন্ত্রের সুযোগ ক্ষমতালিলু ইংরেজরা হাত ছাড়া করেনি। তদুপ নবাবের বিরুদ্ধে তাঁর বড় খালা ঘসেটি বেগম, মীর জাফর, মার কাসিমসহ রাজপ্রাসাদের অভিজাতদের একটি অংশ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে ইংরেজ বণিকরা তাদের সাথে যোগ দেয়। ইংরেজদের দমন করার লক্ষ্যে ইংরেজদের বিরুদ্ধে নবাব যুদ্ধ পরিচালনা করেন। ১৭৫৭সালের ২৩শে জুন পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হন। এর মাধ্যমে বাংলার প্রত্যক্ষভাবে ঔপনিবেশিক শাসনের শুরু হয়।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকের ঘটনার সাথে পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের ঘটনার মিল রয়েছে।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?