Academy

রায়পুরের জমিদারের দুই মেয়ে। তিনি মৃত্যুর আগে ছোট মেয়ের ছেলেকে জমিদারি ক্ষমতা দেন। ফলে তাঁর বড় মেয়ে ও বড় মেয়ের ছেলে লোভী ও স্বার্থপর কর্মচারীদের নিয়ে কোন্দল সৃষ্টি করে। অবশেষে এক বিদেশি কোম্পানির হাতে তাঁদের জমিদারির ক্ষমতা চলে যায়।

উদ্দীপকে নির্দেশিত ঘটনার সাথে যে ঐতিহাসিক ঘটনার মিল আছে তা ব্যাখ্যা কর। (প্রয়োগ)

Created: 3 months ago | Updated: 3 months ago
Updated: 3 months ago
Ans :

উদ্দীপকে নির্দেশিত ঘটনার সাথে ঐতিহাসিক ঘটনা পলাশীর যুদ্ধের মিল আছে।

নবাব আলিবর্দী খাঁর মৃত্যুর পর তাঁর দৌহিত্র নবাব সিরাজউদৌলা ২২ বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন। এতে তার নিকটাত্মীয়রা মনঃক্ষুণ্ণ হন। এই কারণে নবাবের দরবারের একটি অংশ ও আত্মীয় নবাবকে মসনদ থেকে হটানোর জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করে। তদ্রুপ উদ্দীপকে উল্লিখিত রায়পুরের জমিদার মৃত্যুর আগে তার ছোট মেয়ের ছেলেকে জমিদারি ক্ষমতা দেন। ফলে তাঁর বড় মেয়ে ও বড় মেয়ের ছেলে লোভী ও স্বার্থপর কর্মচারীদের নিয়ে কোন্দল সৃষ্টি করে। অবশেষে এক বিদেশি কোম্পানির হাতে তাদের জমিদারির ক্ষমতা চলে যায়। পুরো ঘটনাটি নবাব সিরাজউদ্দৌলোর ক্ষমতা গ্রহণ, তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া যড়যন্ত্র, ইংরেজদের হাতে নবাবের পরাজয় এবং ঔপনিবেশিক শাসনের সূত্রপাতের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। নবাবকে মসনদ থেকে সরানোর ষড়যন্ত্রের সুযোগ ক্ষমতালিলু ইংরেজরা হাত ছাড়া করেনি। তদুপ নবাবের বিরুদ্ধে তাঁর বড় খালা ঘসেটি বেগম, মীর জাফর, মার কাসিমসহ রাজপ্রাসাদের অভিজাতদের একটি অংশ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে ইংরেজ বণিকরা তাদের সাথে যোগ দেয়। ইংরেজদের দমন করার লক্ষ্যে ইংরেজদের বিরুদ্ধে নবাব যুদ্ধ পরিচালনা করেন। ১৭৫৭সালের ২৩শে জুন পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হন। এর মাধ্যমে বাংলার প্রত্যক্ষভাবে ঔপনিবেশিক শাসনের শুরু হয়।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকের ঘটনার সাথে পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের ঘটনার মিল রয়েছে।

3 months ago

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

উপনিবেশিকরণ হলো একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একটি দেশ অন্য দেশকে অর্থনৈতিক শোষণ এবং লাভের উদ্দেশ্যে নিজের দখলে আনে। দখলকৃত দেশটি দখলকারী দেশের উপনিবেশে পরিণত হয়। বাংলাও প্রায় দুইশ বছর ইংরেজদের অধীনে উপনিবেশ ছিল।

বাংলায় মানব বসতি প্রাচীনকাল থেকেই শুরু হয়। এই অঞ্চল ধনসম্পদে ভরপুর থাকায় বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এখানে এসে বসতি গড়ে তোলে। বাংলার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই ছিল বহিরাগতদের আকর্ষণের প্রধান কারণ।

শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় দীর্ঘ সময় ধরে কোনো শক্তিশালী শাসক না থাকায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই সময়কে মাৎস্যন্যায় যুগ বলা হয়। এটি সংস্কৃত ভাষায় 'বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে' এমন অরাজকতার সময় নির্দেশ করে। এ সময়ে বাংলা বহু রাজ্য বিভক্ত হয়ে পড়েছিল।

বাংলার স্বাধীন সুলতানি শাসনের সূচনা হয় ১৩৩৮ সালে। সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ দিল্লির সুলতানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পরে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বাংলার প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন।

সুলতানি আমলে বাংলার প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন সুলতান - শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ। তিনি বাংলার বৃহদাংশ অধিকার করে 'শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান' উপাধি গ্রহণ করেন। তার শাসনকালে বাংলার ঐক্য, 'স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়

সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ বাংলার ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বাংলার শিল্প-সাহিত্য এবং সংস্কৃতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর শাসনকালে বাংলার অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধি লাভ করে।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...